গ্যাস্ট্রিক এর ন্যাচারাল ত্রিফলা মিক্স
গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বর্তমানে বহু মানুষের জীবনের নিত্যদিনের অংশ। তাড়াহুড়া করে খাবার খাওয়া, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খাবার খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো, শারীরিক ব্যায়াম না করা, রাতে দেরিতে ঘুমানো, অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন, মানসিক দুশ্চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। কিন্তু আপনি জানেন কি? সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ইন্সট্যান্টলি গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব!
এই আর্টিকেল থেকে আজকে আমরা জানবো ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক ত্রিফলা মিক্স ব্যবহার করে চিরতরে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে।
আসুন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সম্পর্কে জানি
গ্যাস্ট্রিক কি?
গ্যাস্ট্রিক হল পেটের এক ধরনের অস্বস্তির নাম যা খাবার হজমের সময় অতিরিক্ত অ্যাসিড উৎপন্নের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি পেটের মধ্যে জ্বালা, ব্যথা, এবং বমি বমি ভাবের সৃষ্টি করে।
গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণ
গ্যাস্ট্রিকের প্রধান কারণগুলি হলো:
- অনিয়মিত খাবার খাওয়া
- একবারে বেশি পরিমাণ খাবার খাওয়া
- অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া
- মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
- ধূমপান ও অ্যালকোহল
- রাতে দেরিতে ঘুমানো
- অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা
- খাওয়ার সাথে সাথে শুয়ে পড়া
- অতিরিক্ত চা-কফি পান করা
- অতিরিক্ত লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া, ইত্যাদি।
গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ লক্ষণ
গ্যাস্ট্রিকের সাধারণ লক্ষণগুলি হলো:
- পেটে জ্বালা
- টক ঢেকুর
- বমি বমি ভাব
- পেট ফাঁপা
- বুক জ্বালা, ইত্যাদি।
ত্রিফলা মিক্সের পাওয়ার
ত্রিফলা মিক্স পরিচিতি
‘ত্রিফলা মিক্স’ অত্যন্ত শক্তিশালী কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সংমিশ্রণ। এতে রয়েছে- আমলকি, হরিতকি, বহেরা, বেলশুট, পিপুল, সোনাপাতা, বিট লবণ ও অন্যান্য সহায়ক ভেষজ উপাদান। এই ভেষজ উপাদানগুলো বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদান প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
ত্রিফলা মিক্স এর উপাদানসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
আমলকি
আমলকি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ইমিউন সিস্টেম বুস্ট করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
হরিতকি
হরিতকি হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে।
বহেরা
বহেরা পেটের অ্যাসিড কমিয়ে হজমশক্তি বাড়ায়।
সোনাপাতা
সোনাপাতা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
এছাড়া এতে থাকা অন্যান্য সহায়ক ভেষজ উপাদানগুলো নানা পুষ্টিগণে ভরপুর।
ত্রিফলা মিক্স কীভাবে ব্যবহার করবেন
▪ ১ থেকে ২ চা-চামচ ত্রিফলা মিক্স ২ বেলা খাবার পর আধা গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। সাধারণ ঠান্ডা পানি দিয়ে খাওয়া যাবে, তবে হাল্কা গরম (উষ্ণ) পানি দিয়ে খেলে তুলনামূলক ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়।
▪ বেশি গ্যাস্ট্রিক দেখা দিলে তবুও ঔষধ নয়, ত্রিফলা মিক্স সাধারণ সময়ের তুলনায় একটু বেশি পরিমাণ খেয়ে নিন (সর্বোচ্চ ২ চামচের বেশি নয়)।
ত্রিফলা বনাম ওষুধ
ত্রিফলা মিক্স সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি, যেখানে ওষুধে বিভিন্ন কেমিক্যাল থাকে।
ত্রিফলা মিক্স কোথায় পাবেন?
ভিটালিক্সের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ অথবা হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে ত্রিফলা মিক্স অর্ডার করে ক্যাশ-অন ডেলিভারি তে শহরে বা গ্রামে বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে ঘরে বসে হোম ডেলিভারি পাওয়ার সুবিধা রয়েছে।
মান নিশ্চিতকরণ
ভিটালিক্স কর্তৃক সরবরাহকৃত ত্রিফলা মিক্স এর প্রতিটি উপাদান সংগ্রহ ও ব্লেন্ডিং এর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি ও সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।
শেষ কথা
ত্রিফলা মিক্স প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধানে অত্যন্ত কার্যকর। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বদহজম, বুক জ্বালা-পোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখে অরুচি ইত্যাদি সমস্যায় দারুণভাবে কাজ করে। আমাদের অসংখ্য গ্রাহকের মতো আপনিও ত্রিফলা মিক্স ব্যবহার করে সুস্থ এবং আরামদায়ক জীবন যাপন করতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ্। কারণ এটি পরীক্ষিত ও কার্যকর।
ত্রিফলা মিক্স এর ব্যাপারে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও তার উত্তরঃ
ত্রিফলা মিক্সের দাম কতো?
অক্টোবর-২০২৪ মাসের মূল্য তালিকা অনুযায়ী 🌱 প্রাকৃতিক ত্রিফলা মিক্স এর মূল্য:: ▶ ১০০ গ্রাম: ৪৫০ টাকা, ▶ ২০০ গ্রাম: ৮৫০ টাকা। (সমগ্র বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি চার্জ: ১০০ টাকা)
গ্যাস্ট্রিক সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয় ফাইল খেতে হবে?
ত্রিফলা মিক্স খাওয়ার ১ ঘন্টার মধ্যেই সাধারণতঃ গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রথম ৩-৪ দিন নিয়মিত খাওয়ার পর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আর দেখা না দিলে নিয়মিত ত্রিফলা মিক্স না খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। পরবর্তীতে গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ দেখা দিলে আবার ১-২ দিন ত্রিফলা মিক্স খেতে হবে।
গ্যাস্ট্রিক একটি নিয়মিত প্রক্রিয়ার ফল। পৃথিবীর কোনো ওষুধে গ্যাস্ট্রিক স্থায়ীভাবে নিরাময় হয় না।
খাদ্যাভ্যাস ও লাইফ স্টাইলের অসামঞ্জস্যতার কারণে সাধারণতঃ গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে।
তবে ত্রিফলা মিক্স ও হেলদি লাইফস্টাইলের সমন্বয়ে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ্।
কারো ক্ষেত্রে ত্রিফলা মিক্স এক ফাইল খেলেই দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে আমরা ২ ফাইল নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে করে হুট করে সমস্যা দেখা দিলে যাতে ত্রিফলা মিক্স এর অভাবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন না পড়ে।
এভাবে নিয়ম অনুযায়ী ত্রিফলা মিক্স খাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো ওষুধ ছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনভাবে গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
১০০ গ্রামে এ কত দিন যাবে?
ত্রিফলা মিক্স ন্যাচারাল এবং অত্যন্ত শক্তিশালী। এটি প্রথম ৩-৪ দিন নিয়মিত খাওয়ার পর আর রেগুলার না খেলেও গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তাই ১০০ গ্রামের একটি প্যাক গ্যাস্ট্রিকের মাত্রার উপর নির্ভর করে ১ থেকে ২ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়।
ত্রিফলা মিক্স কী কী সমস্যার জন্য কাজ করে?
✳️ সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন এই ন্যাচারাল মিক্সটি নিচে উল্লেখিত সমস্যাগুলোর জন্য অত্যন্ত দারুণ ভাবে কাজ করে।
▸ গ্যাস্ট্রিক/অ্যাসিডিটি
▸ কোষ্ঠকাঠিন্য
▸ অরুচি, ক্ষুধা না লাগা
▸ পেট ফাপা, বমি, পেট খারাপ
▸ ঢেকুর উঠা
▸ ময়লা জিভ, মুখে দুর্গন্ধ
▸ গলা-বুক জ্বালা, পেট ভার, পেট ব্যাথা, পেটে বায়ু জমা
▸ বুক ধড়ফড় করা- ইত্যাদি।
ভালো হবে গ্যারান্টি কী?
পৃথিবীর কোনো ওষুধে রোগ ১০০% সেরে যাবে এরকম কোনো গ্যারান্টি কোনো ডাক্তার বা কেউই দিতে পারে না।
ত্রিফলা মিক্স খেয়ে আমি, আমাদের টিম মেম্বার, ফ্যামিলি মেম্বারসহ বহু মানুষ গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা পোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, মুখে অরুচি ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ্, এবং বেশিরভাগ মানুষেরই এসব সমস্যার জন্য আর কোনো ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
বাজারে প্রচলিত যে কোনো গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ এক নাগাড়ে নিয়মিত খাওয়ার পর সেটা আর কাজ করে না মানুষের শরীরে। তখন ওষুধের গ্রুপ চেঞ্জ করতে হয়, নতুবা বেশি পাওয়ারের ওষুধ খেতে হয়।
এবং এসব ওষুধের রয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। দীর্ঘদিন এসব ওষুধ খেলে হাড়ক্ষয় সমস্যা, কিডনি সমস্যা, আলসার সহ ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
ত্রিফলা মিক্স সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান হওয়ায় এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এটি স্ট্যামিনা বৃদ্ধি করা, শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ নানাবিধ উপকার করে।
রোগ ব্যাধী নিরাময়ের একমাত্র মালিক মহান আল্লাহ্।
তাই রোগ ১০০% সেরে যাবে, এই গ্যারান্টি কোনো মানুষের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। তবে এটি আপনার শরীরের কোনো ক্ষতি করবে না, কারণ এতে থাকা সব উপাদান ১০০ ভাগ প্রাকৃতিক এবং যুগ যুগ ধরে পরীক্ষিত ও প্রমাণিত।
কিন্তু আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারি যে- ত্রিফলা মিক্স খেয়ে বহু মানুষ তাঁদের শারীরিক এসকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
সুতরাং, আশা করি আপনিও আপনার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, ইনশাআল্লাহ্।
ত্রিফলা মিক্স খেয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন এমন সম্মানিত কাস্টোমারদের রিভিউ ভিডিও দেখুনঃ
Trifola Review-1
Trifola Review-2
Trifola Review-3
বাচ্চারা কী খেতে পারবে?
ত্রিফলা মিক্সের প্রধান উপাদানঃ আমলকি, হরিতকি, বহেরা, বেলশুট, পিপুল, সোনাপাতা ও বিট লবণ। এছাড়াও এতে অন্যান্য সহায়ক ভেষজ উপাদানের মিশ্রণ রয়েছে, যার প্রত্যেকটিই প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তাই ১ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ ত্রিফলা মিক্স খেতে পারবে। তবে ১ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুকে প্রতি বার সর্বোচ্চ হাফ চামচ করে খাওয়ানো যাবে।
গর্ভবতী মহিলারা কি খেতে পারবে?
ত্রিফলা মিক্সের প্রধান উপাদানঃ আমলকি, হরিতকি, বহেরা, বেলশুট, পিপুল, সোনাপাতা ও বিট লবণ। এছাড়াও অন্যান্য সহায়ক ভেষজ উপাদানের মিশ্রণ রয়েছে, যার প্রত্যেকটিই প্রাকৃতিক, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ।
তবে গর্ভ ধারণের প্রথম ৬ মাস অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। ত্রিফলা মিক্সে থাকা বহেরা এই সময়ে গর্ভপাতের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
গর্ভের ৬ মাসের পরে ত্রিফলা মিক্স তুলনামূলক নিরাপদ হলেও আমাদের পরামর্শ হলো- সন্তান জন্ম দানের আগ পর্যন্ত বিশেষ এই অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শের বাইরে কোনো চিকিৎসা গ্রহণ না করা।
তাই গর্ভকালীন এই বিশেষ সময়ে আমরা ত্রিফলা মিক্স খেতে নিরুৎসাহিত করে থাকি।
কীভাবে অর্ডার করবো?
অর্ডার করার জন্য আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, পূর্ণ ঠিকানা ও ত্রিফলা মিক্স এর পরিমাণ উল্লেখ করে নিচের যে কোনো একটি মাধ্যমে ম্যাসেজ দিন।
আপনার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে অর্ডার করতে এখানে প্রেস করুন।
অথবা ম্যাসেঞ্জার থেকে অর্ডার করতে প্রেস করুন এখানে।